সমীকরণ কথার অর্থ হলো সমান করা | আমরা বিভিন্ন সময় অসমতার পরিস্থিতির মুখোমুখি হই | এই অসমতাকে সমতা আনার চেষ্টা করা হয় |অসমতাকে, সমতা আনতে গেলে একটি পদ্ধতির এর সাহায্য নিতে হয় | এই পদ্ধতিতে দুটি পক্ষ থাকে | তা হল বামপক্ষ ও ডানপক্ষ | বামপক্ষ ও ডানপক্ষের মাঝে সমান চিহ্ন দিয়ে একটি সমীকরণ গঠন করা হয় | একটি উদাহরণের সাহায্যে বুঝার চেষ্টা করি |
উদাহরণ:- বাপনের 4 টি কলম আছে | উত্তমের 7 টি কলম আছে | কি করলে বাপন ও উত্তম এর কলম সমান হবে | বাপন এর কলম এর সঙ্গে আরো 3টি কলম যোগ করলে উত্তমের কলমের সমান হবে | [অর্থাৎ:- বাপন এর কলম+3টি কলম=উত্তমের কলম] |আর বামপক্ষ হল:- বাপন এর কলম+3টি কলম ও ডানপক্ষ হল:- উত্তমের কলম | বামপক্ষে 3টি কলম যোগ করিলে ডানপক্ষ এর সমান হবে | অথবা উত্তম এর কলম থেকে 3 টি কলম সরিয়ে নিলে অর্থাৎ বিয়োগ করিলে বাপনের কলমের সমান হবে | [অর্থাৎ:- বাপন এর কলম=উত্তমের কলম-3টি কলম] |এখানে ডানপক্ষে 3 টি কলম বিয়োগ করিলে বামপক্ষ এর সমান হবে |এখানে উত্তর হলো 3, | এই উত্তর, পাটিগণিতের যোগ বিয়োগ এর নামতা এর সাহায্যে নিয়ে খুব সহজেই উত্তর 3 বের করে নিলাম | কিন্তু বামপক্ষ ও ডানপক্ষের সংখ্যা গুলি যদি বড় হয়, তখন মুখে মুখে নামতার সাহায্য নিয়ে উত্তর নির্ণয় করা কঠিন হবে |
এই কঠিন সমস্যা সমাধান করার জন্য প্রয়োজন হয় বীজগণিত এর অঙ্ক | এই অঙ্কে আমি উত্তর পেলাম 3 | অঙ্কটি করার আগে আমি উত্তর টি জানিতাম না | তাই উত্তরটি হলো একটি অজানা সংখ্যা বা রাশি | সমাধান করার পর এই অজানা সংখ্যা বা রাশির মান জানতে পারিলাম | বীজ গতিতে প্রথমে এই অজ্ঞাত রাশির মান ধরে নিলাম | সাধারণত ইংরেজি বর্ণমালা এর a থেকে z এর মধ্যে কোনো একটি বর্ণকে অজ্ঞাত রাশি হিসেবে ধরে নেওয়া হয় | তারপর বীজগণিতের নিয়ম অনুযায়ী সমাধান করে ধরে নেওয়া রাশির মান নির্ণয় করা হয় অর্থাৎ নির্ণয় করা রাশির মান এখানে 3 পেলাম |
step-1;ধরিলাম বাপনের কলমের সঙ্গে x টি কলম যোগ করিলে উত্তমের কাছে থাকা কলমের পরিমাণের সমান হবে |
শর্ত অনুযায়ী 4+x=7বামপক্ষ | ডানপক্ষ |
---|---|
4+x | 7 |
x | 7-4 |
x | 3 |
step-2;ধরিলাম উত্তমের কলমের সঙ্গে x টি কলম বিয়োগ করিলে বাপনের কাছে থাকা কলমের পরিমাণের সমান হবে |
শর্ত অনুযায়ী 4=7-xবামপক্ষ | ডানপক্ষ |
---|---|
4 | 7-x |
4-7 | -x |
-3 | -x |
x | 3 |
সমীকরণের অংকটি সহজ ভাবে বোঝার জন্য একটি সাধারণ দাঁড়িপাল্লা নিবো | একটি সাধারণ দাঁড়িপাল্লা এর বাম দিকের পাল্লায় 4 টি কলম ও ডান দিকের পাল্লায় 7 টি কলম রাখিলাম | কলম গুলি রাখার পর দেখতে পাবো ডান দিকের পাল্লাটি ভারি হবে, অর্থাৎ ডান দিকের পাল্লাটি মাটির দিকে বেশি ঝুকে থাকবে | কি করলে বাম দিকের পাল্লা ও ডান দিকের পাল্লা দুটি সামান হবে, অর্থাৎ দাঁড়িপাল্লাটি অনুভূমিক অবস্থায় আসবে চিন্তা করি |
এখানে আমরা অঙ্কটি তে বীজগাণিতিক প্রতীক ব্যবহার করে সমস্যাটিকে গাণিতিক ভাষায় প্রকাশ করলাম | গণিতের ভাষায় এই পদ্ধতিকে বলা হয় সমীকরণ গঠন করা | সমীকরণ গঠন করার পর সমস্যাটি সমাধান করে অজানা রাশির মান নির্নয় করা হয় | অজানা রাশি বলতে বোঝানো হয়েছে বীজগণিতের চলরাশির |
সমীকরণ সমাধান করার পর অজানা রাশির অর্থাৎ x এর একটি নির্দিষ্ট বাস্তব মান পেলাম | এই বাস্তব মান সমীকরণে এর দুই পক্ষকে সমান করে | অর্থাৎ সমাধান করার পর পাওয়া বাস্তব মান টি সমীকরণে বসালে সমীকরন এর বামপক্ষ = ডানপক্ষ হবে | 4=7-x সমীকরণ টি সমাধান করলে x এর মান বের হবে 3 | সমীকরণে x এর পরিবর্তে 3 বসালে সমীকরণের দুই পক্ষ সমান হবে | 4=7-3 or 4=4
সংজ্ঞা:- অজানা সংখ্যার যে সুনির্দিষ্ট মান সমীকরণের উভয় পক্ষের মান সমান করে বা সিদ্ধ করে, তাকে সমীকরণের বীজ বলে |
আর এই অজানা রাশির মান নির্ণয় করার প্রক্রিয়াকে বলা হয় সমীকরণ সমাধান করা |
সমীকরণের পাটি গাণিতিক বা বীজগাণিতিক সংখ্যা বা সংখ্যামালা = চিহ্নের একপাশ থেকে অপর পাশে নিয়ে যাওয়ার এই প্রক্রিয়াকে গানিতিক ভাষায় বলা হয় পক্ষান্তর প্রক্রিয়া |
অর্থাৎ সমীকরণের সমাধান করার সময় ডানপক্ষ থেকে বামপক্ষে আবার বামপক্ষ থেকে ডানপক্ষে পাটি গাণিতিক বা বীজগাণিতিক সংখ্যা বা সংখ্যামালা এর স্থানান্তর করার পদ্ধতি কে বলা হয় পক্ষান্তর প্রক্রিয়া |
একটি সমীকরণের ডানপক্ষ থেকে বামপক্ষে কিম্বা বামপক্ষ থেকে ডানপকক্ষে কোনো সংখ্যা স্থানান্তর হলে কি হবে দেখে নেওয়া যাক | অর্থাৎ = চিহ্নের ডানদিক থেকে বামদিক অথবা বামদিক থেকে ডান দিক কোন সংখ্যা স্থানান্তর হলে কি হবে দেখে নেওয়া যাক
ডান পক্ষে | বাম পক্ষে |
---|---|
+ | - |
- | + |
\(\times\) | \(\div\) |
\(\div\) | \(\times\) |
পক্ষান্তর প্রক্রিয়া এর উদাহরণ | |
x +2=5+7 | x=5+7-2 |
x+6+9=5 | x+6=5-9 |
x\(\times\)3=6\(\times\)2 | x=6\(\times\)2 \(\div\)3 |
x\(\div\)5=6 | x=6\(\times\)5 |
বাম পক্ষে | ডান পক্ষে |
---|---|
+ | - |
- | + |
\(\times\) | \(\div\) |
\(\div\) | \(\times\) |
উদাহরণ গুলি উপরের ছকের মতো হবে |
সমীকরণ | যোগ করার পর সমীকরণ |
---|---|
x+3=7 | x+3+ 5=7+5 |
দুই পক্ষে 5 যোগ করার পর মানের কোনো পরিবর্তন হবে না |
সমীকরণ | বিয়োগ করার পর সমীকরণ |
---|---|
x+3=7 | x+3- 9=7-9 |
দুই পক্ষে 9 বিয়োগ করার পর মানের কোনো পরিবর্তন হবে না |
সমীকরণ | গুণ করার পর সমীকরণ |
---|---|
x+3=7 | (x+3)\(\times\)2=7\(\times\)2 |
দুই পক্ষে 2 গুণ করার পর মানের কোনো পরিবর্তন হবে না |
সমীকরণ | ভাগ করার পর সমীকরণ |
---|---|
x+3=7 | (x+3)\(\div\) 4=7\(\div\) 4 |
দুই পক্ষে 4 ভাগ করার পর মানের কোনো পরিবর্তন হবে না |
উপরে আমরা পড়লাম সমীকরণ কি ও কিভাবে তা গঠন ও সমাধান করা হয় | এখানে আলোচিত সমীকরণের একটি মাত্র বীজগাণিতিক চলরাশি এর আলোচনা করা হয়েছে | বীজগাণিতিক চলরাশি হলো একটি অজ্ঞাত সংখ্যা | আমাদের এই চলরাশি অর্থাৎ অজ্ঞাত সংখ্যা এর মান নির্ণয় করতে হয় |
ANS:- যে সরল সমীকরণ এ সর্বচ্চ এক ঘাত বিশিষ্ট অজ্ঞাত সংখ্যা আছে সেই সমীকরণকে বলা হয় এক ঘাত বিশিষ্ট সরল সমীকরণ | এই সরল সমীকরণ এর অঙ্কগুলি তে অজানা রাশির পাওয়ার 1 হয় অর্থাৎ ঘাত 1 হয় বলে এক ঘাত বিশিষ্ট সমিকরন বলা হয় | উদাহরণ এর মাধ্যমে বুঝে নেওয়া যাক | এখানে আমরা চলরাশির মান x ধরে অঙ্ক গুলি করিলাম |
সরল সমীকরণ |
---|
\(x^{1}+5=3\) |
\(7-x^{1}=5\) |
\(10-x^{1}-2=0\) |
ETC |
x পাওয়ার 1 হলে অর্থাৎ \(x^{1}\) হলে, x এর মাথার উপর 1 লিখা হয় না | \(x^{1}\) পরিবর্তে x লিখা হয় |
একটি উদাহরণের মাধ্যমে সরল সমীকরণ কিভাবে গঠন করবো তা দেখে নেওয়া যাক
একটি অঙ্ক পরীক্ষায় দুই বন্ধুর পাওয়া মোট নম্বর হল 117 , প্রথম বন্ধু বাপন যত নম্বর পেয়েছে তার থেকে 7 নম্বর বেশি পেয়েছে দ্বিতীয় বন্ধু উত্তম | তা হলে কোন বন্ধু কত নাম্বার পেয়েছে নির্ণয় করি |
ধরিলাম বাপন অঙ্ক পরীক্ষায় নম্বর পেয়েছে xশর্ত অনুযায়ী | |
---|---|
বাপন + উত্তম | = 117 |
(x)+(x+7) | =117 |
x+x+7 | =117 |
2x+7 | =117 |
এটি হলো এক চল বিশিষ্ট একঘাত সমীকরণ গঠন করার পদ্ধতি |
এক-চল বিশিষ্ট সমীকরণ গঠন করার পদ্ধতি আমরা শিখেছি | অনেক সময় সমীকরণ গঠন করতে আমাদের প্রয়োজন হয় দুটি চলরাশির | এই দুটি চলরাশি দিয়ে দুটি সমীকরণ গঠন করা হয় | উপরের উদাহরণ টি আরেকবার বুঝে নেওয়া যাক |
একটি অঙ্ক পরীক্ষায় দুই বন্ধুর পাওয়া মোট নম্বর হল 117 , প্রথম বন্ধু বাপন যত নম্বর পেয়েছে তার থেকে 7 নম্বর বেশি পেয়েছে দ্বিতীয় বন্ধু উত্তম | তা হলে কোন বন্ধু কত নাম্বার পেয়েছে নির্ণয় করি |
এই অঙ্কটি আমি আগে একচল রাশির এর সাহায্যে সমাধান করেছি | এখন দুটি চল রাশির এর সাহায্যে সমাধান করিব |
এই সমীকরণ দুটিকে একসঙ্গে বলা হয় সহ সমীকরণ | এই সমীকরণ দুটির মধ্যে একটি সমস্যার সমাধান রয়েছে | একটি সমীকরণ অন্য একটি সমীকরণ এর উপর নির্ভরশিল | একটি সমীকরণ সমাধান করে আমরা সমস্যাটির সম্পূর্ণ উত্তর অর্থাৎ নির্দিষ্ট উত্তর পাবো না | সমীকরণ দুটিকে একসঙ্গে সূত্র অনুযায়ী সমাধান করতে হবে | সহসমীকরণ এর সমাধান সূত্র গুলি হল নিম্নরূপ |
সহ সমীকরণ সমাধান করার জন্য প্রধানত চারটি সূত্র এর সাহায্য নিতে হয় | চারটি পদ্ধতি মধ্যে যে কোনো একটি পদ্ধতি এর সাহায্য নিয়ে সমাধান করা হয় | পদ্ধতি গুলি হল নিম্নরূপ |
এই নিয়মে 1.NO ও 2.NO সমীকরণ থেকে আলাদা আলাদা চলরাশি x এর মান নির্ণয় করব | ডানপক্ষে x রেখে বামপক্ষে x এর মান নিয়ে নতুন সমীকরণ নির্ণর করা হল | 1.NO সমীকরণ থেকে পাওয়া সমীকরণ এর নাম দিলাম 3.NO সমীকরণ | ও 2.NO সমীকরণ থেকে পাওয়া সমীকরণ এর নাম দিলাম 4.NO সমীকরণ | এই 3.NO ও 4.NO সমীকরণ দুটির ডানপক্ষে থাকবে x | একটি উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি বুঝে নেওয়া যাক |
এখন 3.Noসমীকরণ ও 4.Noসমীকরণ দুটির ডানপক্ষে x থাকার কারনে সমীকরণ দুটির ডানপক্ষ সমান | অতএব 3.No সমীকরণ ও 4.No সমীকরণ দুটির বামপক্ষে সমান হবে | অর্থাৎ 117-y =y-7 | এখান থেকে y এর মান পাওয়া যাবে | y এর মান 1.No সমীকরণ অথবা 2.No সমীকরণে বসালে x এর মান পাওয়া যাবে |
পরিবর্ত পদ্ধতি এর নিয়ম হল | 1.NO সমীকরণে y এর মান নির্ণয় করতে হবে | 1.NO সমীকরণ থেকে y এর মান নির্ণয় করার পর 2.NO সমীকরণ এর মধ্যে y এর জায়গায় 1.NO সমীকরণ থেকে নির্ণয় করা y এর মান বসাতে হবে | অর্থাৎ মান বসানোর পর 2.NO সমীকরণে চলরাশি y থাকবে না, শুধুমাত্র চলরাশি x থাকবে | এর পর সমাধান করলে x এর মান পাবো | আর x এর মান 1.NO অথবা 2.NO সমীকরণে বসালে y এর মান পাবো |
প্রথমে x+y=117--------1.No সমীকরণ থেকে y এর মান নির্নয় করব |
x+y=117y এর মান x-y=7 সমীকরণে অর্থাৎ 2.No সমীকরণে বসালে সমীকরণ টি হবে নিম্নরূপ
OR= x-(117-x)=7 (y এর মান বসিয়ে পাই)আমি 1.NO সমীকরণে x এর মান বসিয়ে পাই, অর্থাৎ 1.NO সমীকরণে x এর পরিবর্তে 62 বসালে y এর মান পাবো |
x+y=117--------1.Noসমীকরণসহ সমীকরণ এর অঙ্ক গুলি পরিবর্ত পদ্ধতিতে এই রকম ভাবে সমাধান করতে হয় |
অপনয়ন পদ্ধতিতে অঙ্ক করার সময় সমীকরণ দুটির x এর সহগ সমান করা হয় | তারপর প্রথম সমীকরণ থেকে দ্বিতীয় সমীকরণ বিয়োগ করে x-এর সহগ সহ x বাদ দেওয়া হয় | তার পর y এর মান পাবো | এরপর পাওয়া y এর মান 1.No অথবা 2.No সমীকরণের যেকোনো একটিতে বসিয়ে সমাধান করলে x এর মান পাওয়া যাবে |
1.Noসমীকরণ ও 2.Noসমীকরণ এ x এর সহগ 1 | অর্থাৎ দুটি সমীকরণ এ x এর সহগ সমান আছে | তাই সমীকরণ দুটির x এর সহগ সমান করার জন্য কোনো সংখ্যা গুন করা হলো না | আর সহগ সমেত চলরাষির চিহ্নের পরিবর্তন করা হল না | কারণ 1.NO সমীকরণের সহগ সমেত চলরাশির চিহ্নের (+) আছে অর্থাৎ (+x) আছে | আর 2.NO সমীকরণের সহগ সমেত চলরাশির চিহ্নের (-) আছে অর্থাৎ (-x) আছে | তাই 1.NO সমীকরণ থেকে 2.NO সমীকরণের সহগ সমেত xচলরাশি বিয়োগ হয়ে যাবে |
এখানে দুটি সমীকরণে x এর সহগ গুলি আলাদা | যেমন 1.Noসমীকরণে x এর সহগ হল 3 ও 2.Noসমীকরণে x এর সহগ হল 5 | তাই এখানে 1.No সমীকরণে ও 2.No সমীকরণে x এর সহগ সমান করতে হবে | তাই 1.No সমীকরণ এর সঙ্গে 5 গুন করব, সমীকরণে 5 গুণ করার পর সমীকরণটি হবে (5y-3x=9)\(\times\)5 অর্থাৎ 25y-15x=45 হবে | 25y-15x=45 এই নতুন সমীকরণটির নাম দেবো 3.No সমীকরণ |2.No সমীকরণ এর সঙ্গে 3 গুন করব, সমীকরণে 3 গুণ করার পর সমীকরণটি হবে (2y+5x=16)\(\times\)3 অর্থাৎ 6y+15x=48 হবে | 6y+15x=48 এই নতুন সমীকরণটির নাম দেবো 4.No সমীকরণ |
নতুন পাওয়া 3.NO ও 4.NO সমীকরণে x এর সহগ সমান হয়েছে | তাই 3.NO ও 4.NO সমীকরণ থেকে x এর সহগ সমেত x কে বাদ দিতে পারবো | x চলরাশি সমেত x এর সহগ বাদ দিলে বাকি থাকবে y সমেত y এর সহগ | অর্থাৎ 15x-15x=0 হবে , আর 25y+6y যোগ হয়ে 31y হবে | অতএব 3.NO ও 4.NO সমীকরণ যোগ/ বিয়োগ করার পর নতুন যে 5.NO সমীকরণ পাবো তা হবে 31y+0=93 | 31y+0=93 এটি হলো 5.NO সমীকরণ | এই সমীকরণ সমাধান করলে y এর মান পাবো | y এর মান 1.NO অথবা 2.NO সমীকরণে বসালে x এর মান পাবো |
এখানে দুটি সমীকরণে x এর সহগ গুলি আলাদা ও চিহ্ন গুলি একই ধরনের | যেমন 1.Noসমীকরণে x এর সহগ হল 2 ও চিহ্ন (+), 2.Noসমীকরণে x এর সহগ হল 3 ও চিহ্ন (+) | তাই x এর সহগ সমান করতে হবে |
যেহেতু 3.Noসমীকরণ ও 4.Noসমীকরণ এ সহগ সমেত x চিহ্ন + | অর্থাৎ দুটি সমীকরণ এ +6x আছে | তাই 4.Noসমীকরণ এর সাথে বিয়োগ চিহ্ন গুণ করব 6x+4y=16--------4.Noসমীকরণ\(\times\)(-) | বিয়োগ চিহ্ন গুণ করার পর সমীকরণটি হবে (-6x-4y=-16) | এখন 3.Noসমীকরণ থেকে 4.Noসমীকরণ বিয়োগ করা যাবে | অর্থাৎ সহগ সমেত x কে বাদ দেওয়া যাবে |
সহ সমীকরণ এর অঙ্ক গুলি অপনয়ন পদ্ধতিতে এই রকম ভাবে সমাধান করতে হয় |
বজ্রগুণন পদ্ধতি এর সাহায্যে একঘাত সহ-সমীকরণ এর অঙ্ক গুলি খুব সহজেই সমাধান করা যায় | এখানে আমরা x ও y এর মান এক সঙ্গেই নির্ণয় করতে পারবো | বজ্রগুণন পদ্ধতিতে একঘাত সহ-সমীকরণ এর অঙ্ক গুলি কিভাবে সমাধান করব তা দেখে নেওয়া যাক |
এখানে 1.No সমীকরণ এর অঙ্ক গুলিতে x এর সহগ 4 ও y এর সহগ 3 আছে ও ধ্রুবক পদ হল 17| আর 2.No সমীকরণ এর অঙ্ক গুলিতে x এর সহগ 6 ও y এর সহগ 5 আছে ও ধ্রুবক পদ হল 27| এখন ছবির মতো করে x ও y এর সহগ ও ধ্রুবক পদ গুলি লিখিব |