কম্পিউটার এর আলোচনা

What is Computer

Website Name:-www.ourbook.in
লেখক :-উত্তম আটা (Uttam Ata)

কম্পিউটার এর ইতিহাস

এবাকাস (Abacus)

প্রাচিন কাল থেকে মানুষ নানা এদ্ধতিতে গণনা করতো এবং তার সমস্যার সমাধান করতো। ধিরে ধিরে সভ্যতা উন্নত হয় ও গননার কাজে জটিলতা আসে। এই জটিলতা দূর করতে প্রাচিন অধিবাসি একটি জন আরিস্কার করে যার নাম ছিল এবাকাস (Abacus)এবাকাস (Abacus) । এর পর দিন যত এগোতে থাকে সভ্যতার উন্নত হতে থাকে তার সাথে সাথে এবাকাস (Abacus) যন্তের উন্নত হত থাকে। তবে এই যন্তটি বিভিন্ন সম্রদাসের মধ্যে বিভিন নামে পরিচিত ছিল। যেমন:- রাশিয়ানরা নাম দিয়েছিল স্কোটিয়া। জপানীরা বলতো সোরোবান


এবাকাস য়ন্তটি ছিল একটি ফ্রেমের মধ্যে দুটি পাট ৷ অনেকটা কার্ঠের জানালার মতো ৷



এনালিটিক্যাল ইঞ্জিন

এনালিটিক্যাল ইঞ্জিন তৈরি করেন চার্লস ব্যাবেজ৷ এই এনালিটিক্যাল ইঞ্জিন হল আধুনিক কম্পিউটারের পূর্বপুরুষ ৷ এনালিটিক্যাল ইঞ্জিন এর বংশধর হল বর্তমান কম্পিউটার ৷ এমনটাই বিশেশগ্যরা মনে করেন ৷ কারণ এই এনালিটিক্যাল ইঞ্জিন বর্তমান কম্পিউটারের মতো স্মৃতি(Memory store) ধরে রাখতে পারতো , ক্যালকুলেট করতে পারতো, ইনপুট নিতে ও আউটপুট দিতে পারতো ৷ এই যন্তের মুলত চারটি পাট ছিল ৷ এই যন্তটি ছিল সম্পুর্ন মেকানিকেল পদ্ধতিতে তৈরি যন্ত ৷ অনেক গুলি চাকা ও গিয়ারের সমন্নয় গর্ঠিত। গম ভানা মেসিনের মতো একটি প্রধান চাকা থাকে ৷ এই চাকা হাতের সাহায্যে বা বাস্পচালিত ইঞ্জিনের সাহায্য কন্টিনিউ ঘোরানো হতো ।

এই যন্তের মুলত চারটি পাট হল নিম্নরূপ


চার্লস ব্যাবেজকে কম্পিউটারের জনক বলা হয়

যদিও চার্লস ব্যাবেজকে ইলেকট্রনিক কম্পিউটার আবিষ্কার করেন নি | চার্লস ব্যাবেজ এর আবিষ্কার করা কম্পিউটার হল মেকানিকেল কম্পিউটার

কম্পিউটার কাকে বলে

(What is Computer?)

কম্পিউটার হলো একগুচ্ছ ইলেকট্রনিক ডিভাইসের দ্বারা গঠিত যার মাধ্যমে অতি সহজে দ্রুততার সঙ্গে জটিল থেকে জটিল তর অঙ্কের সমস্যার সমাধান করা যায় এবং তথ্য জমা রাখা যায় যা পরবর্তি সময় পুনরায় ববহার করা যায় |

কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে

কম্পিউটার বাইনারি পদ্ধতিতে কাজ করে থাকে । 0,1 এর সমন্বয়ে বাইনারি পদ্ধতি গঠিত । এখানে 0 বলতে বোঝায় কারেন্টের OFF অবস্থা ৷ আর 1 বলতে বোঝায় কারেন্টের ON অবস্থা ৷ পর পর অনেক গুলো লজিক গেটের মাধ্যমে সারকিট তৈরি করে OFF/ON এর অবস্থান নিয়ে কাজ করানো হয় ৷


এখানে ইনপুট হিসেবে 0 আর 1 নিয়ে থাকে আর আউটপুট হিসেবে 0 আর 1 দিয়ে থাকে |

কম্পিউটার এর জেনারেশন

কম্পিউটার জেনারেশন বা প্রজন্ম শুরু হয় ইলেকট্রিক ব্যবহার করে ৷ ইলেকট্রিক সিগন্যাল কে ON ও OFF করে তৈরি করা হয় কম্পিউটার ৷ আর এখান থেকেই শুরু কম্পিউটারের প্রজন্ম ৷


ইলেকট্রিক ব্যবহার করে বর্তমান পর্যন্ত কম্পিউটার তৈরির প্রক্রিয়াকে বিজ্ঞানিরা 5 ভাগে ভাগ করেছেন ৷ এই ভাগ গুলিকে বলা হয় জেনারেশন বা প্রজন্ম ৷ প্রতি প্রজন্মের জেনারেশন এ কম্পিউটারের কিছু বিশেশস্ত রয়েছে ৷


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আনুমানিক 1940 এর দিকে ইলেকট্রনিক কম্পিউটার তৈরির চেষ্টা শুরু করেছিল বিজ্ঞানিয়া এবং 1942 সাল নাগাদ ভালভ বা বায়ু শুন্য টিউব ব্যবহার করে প্রথম ইলেকটনিক কম্পিউটার়ের সারকিট তৈরি করেন আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জন এটানাসফ ৷ এই যন্তর নাম ছিল ABC ৷ ABC full form of (Atanasof Barry Computer)


কম্পিউটার তৈরি থেকে আজ অব্দি পঞ্চম জেনারেশন পর্যন্ত গণনা করা হয় । তা হলো নিম্নরূপ ৷

কম্পিউটার এর প্রথম প্রজন্ম


1946 সালে জন মউসলির হাত ধরে শুরু হয় প্রথম প্রজন্ম বা প্রথম জেনারেসেনের এর কম্পিউটার ৷ এই কম্পিউটারের নাম ছিলো ENIAC ⇉ (Electronic Numerical Integrator And Calculator) ৷ এটি তৈরি করতে প্রায় 20000 এর মতো ইলেকটনিক ভাল্ব ব্যবহার করা হয়েছিলো ৷ সাইজ ও ওজন ছিল বিশাল এবং ইলেকট্রিক ব্যবহার হতো প্রায় 100 KW এর বেশি ৷ এই ENIAC মেসনটি প্রতি সেকেন্ডে প্রায় 5000 টি গননা করতে পারতো ৷ কিন্তু তথ্য ধরে রাখতে বা জমা রাখতে পারতো না ৷ এর পর বিজ্ঞানীরা তৈরি করেন MARK নামক যন্তটি যা তথ্য বা ডাটা জমা রাখা যেতো , আর এই MARK হল বাস্তবিক অর্থে কম্পিউটার ৷


প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারের কিছু বৈশিষ্ট্য

  1. প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারের সময় সীমা ধরা হয় 1947 থেকে 1955 সাল পর্যন্ত
  2. প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারে ব্যবহৃত হয় ভ্যাকুয়াম টিউব
  3. প্রচুর ইলেকট্রিক ব্যবহার হতো
  4. প্রচুর হিট বা তাপ উৎপন্ন হতো
  5. এই সময় কম্পিউটার ছিল সাইজে অনেক বড়ো ৷ প্রায় একটি ঘরের মতো, তাই একস্থান থেকে অন্য স্থানে বয়ে নিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব ছিল ( নন পোটেবেল) ৷
  6. পাঞ্চ কার্ড, পেপার টেপ ছিল এই সময়কার সেকেন্ডারি স্টোরেজ বা মেমোরি
  7. স্টোরেজ বা মেমোরি ক্যাপাসিটি ছিল লিমিটেড
  8. ইনপুট ও আউটপুট সিগন্যাল ছিল খুবই স্লো
  9. নির্ভরযোগ্যতা ছিল কম
  10. এই সময় কার কম্পিউটারে ব্যবহৃত হয় মেশিন কোড । মেশিন কোড এর মাধ্যমে নির্দেশ দেওয়া হতো কম্পিউটাকে। অর্থাৎ মেশিন কোড এর মাধ্যমে প্রোগ্রাম লেখা হতো ।
  11. এই সময় কার কম্পিউটারের নাম ছিল ENIAC, EDSAC, ERA-1101 etc........

কম্পিউটার এর দ্বিতীয় প্রজন্ম


দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে যে মেজর পরিবর্তন আসে তা হলো ভ্যাকুয়াম টিউবের বদলে ট্রানজিস্টর (Transistor) এর ব্যবহার । যার ফলে কম্পিউটারে আসে যে আমূল পরিবর্তন তা হল নিম্নরূপ


দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের কিছু বৈশিষ্ট্য

  1. দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের সময় সীমা ধরা হয় আনুমানিক 1956 থেকে 1964 সাল পর্যন্ত
  2. দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে ব্যবহার হয় ট্রানজিস্টর (Transistor)
  3. আকারে প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারের তুলনায় ছোটো কিন্তু আকৃতিতে বৃহৎ ছিল
  4. তথ্য ইনপুট করানোর জন্য ব্যবহার করা হতো পাঞ্চকার্ড
  5. তথ্য আউটপুট করানোর জন্য ব্যবহার করা হতো পাঞ্চকার্ড, কাগোজ
  6. তথ্য সঞ্চয় করার জন্য ব্যবহার করা হতো ম্যাগনেটিক টেপ
  7. এই সময় থেকে কম্পিউটার সফটওয়্যার রচিত হয় ।
  8. যার ফলে সুচনা হাই লেভেল প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ
  9. ইলেকট্রিক বা বিদ্যুৎ খরচ কিছুটা কম হয় । অর্থাৎ প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারের তুলনায় বিদ্যুৎ খরচ কম লাগে
  10. তাপ উৎপন্ন হয় আগের তুলনায় কিছুটা কম হয় । কারন ট্রানজিস্টর (Transistor) তাপ উৎপন্ন করে ভেকুয়াম টিউবের তুলনায় কম
  11. দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে ইনপুট ও আউটপুট সিগনালের গতি কিছুটা বৃদ্ধি পাই প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারের তুলনায়
  12. ফোটন নামক হাই লেবেল সফটওয়্যার ব্যবহার শুরু করা হয়
  13. এই সময় কার কম্পিউটারের উদাহরণ হল IBM-1620, NCR-300, etc

কম্পিউটার এর তৃতীয় প্রজন্ম


তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার ছিল দ্বিতীয় প্রজন্মের তুলনায় উন্নত । এই সময় কম্পিউটারে কিছু পরিবর্তন আসে । তা হল নিম্নরূপ.........


তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের কিছু বৈশিষ্ট্য

  1. তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের সময় সীমা ধরা হয় 1965 থেকে 1974 সাল পর্যন্ত
  2. এই প্রজন্মের কম্পিউটারে ট্রানজিস্টর এর বদলে ব্যবহার করা হয় ইন্টিগ্রেটেড সারকিট (IC)
  3. আকারে দ্বিতীয় প্রজন্মের তুলনায় অনেক ছোটো এবং ইনপুট ও আউটপুট গতি যথেষ্ট বৃদ্ধি পায় দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের তুলনায়
  4. কম্পিউটার এর এই প্রজন্মে চালু হয় ASCII code এর মাধ্যমে ইনপুট গ্রহন পক্সিয়া, অর্থাৎ কি-বোর্ডের মাধ্যমে ইনপুট গ্রহণ প্রক্রিয়া
  5. কম্পিউটার এর এই প্রজন্মে আউটপুট এর জন্য ব্যবহার হয় মনিটার
  6. তথ্য সঞ্চয় করার জন্য ব্যবহার করা হতো ম্যাগনেটিক টেপ
  7. এই সময় কার কম্পিউটারের উদাহরণ হল HP 3000
  8. তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার গুলির উৎপাদন খরচ ছিল আগের প্রজন্মের তুলনায় অনেক কম
  9. বিদ্যুৎ খরচ ছিল আগের প্রজন্মের তুলনায় অনেক কম
  10. তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের তথ্য সঞ্চয় করা যেত দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের তুলনায় অনেক বেশি
  11. কম্পিউটারের নির্দেশ দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হতো হাইলেবেল ল্যাঙ্গুয়েজ
  12. কম্পিউটারের রক্ষণাবেক্ষণ খরচ ছিল আগের তুলনায় কম
*****ASCII-code কি জানতে এখানে ক্লিক করুন

কম্পিউটার এর চতুর্থ প্রজন্ম


প্রজন্ম যত এগোতে থাকে তত কম্পিউটার ছোটে হতে থাকে এবং এর কার্যকারিতা ততো উন্নত হতে থাকে ৷ চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য গুলি হল নিম্নরূপ


চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারের কিছু বৈশিষ্ট্য

  1. চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারের সময় সীমা প্রায় 1975 থেকে 1984 সাল পর্যন্ত মনে করা হয়
  2. এই সময় ব্যবহার করা হয় মাইক্রো-প্রসেসর
  3. আকারে তৃতীয় প্রজন্ম এর তুলনায় ছোটো
  4. ইনপুট ও আউটপুট গতি তৃতীয় প্রজন্ম এর তুলনায় বেশি
  5. ডাটা স্টোর বা তথ্য সঞ্জয় ক্ষমতা তৃতীয় প্রজন্ম এর তুলনায় অনেক বেশি
  6. ম্যাগনেটিক ডিস্ক এ তথ্য সঞ্চয় করা চালু হয়

ইনপুট এবং আউটপুট ডিভাইস (Input & Output device)


ইনপুট ডিভাইস (Input Device)

কম্পিউটারের যে সমস্ত ইস্টুমেন্ট বা যন্তাংশের বা ডিভাইস মাধ্যমে নির্দেশ দেওয়া হয় সেই সমস্ত ডিভাইস কে বলা হয় ইনপুট ডিভাইস ৷ যেমন :-



আউটপুট ডিভাইস (Output Device)

কম্পিউটারের যে সমস্ত যন্ত্রাংশ বা ডিভাইস এর মাধ্যমে আমরা প্রতিক্রিয়া বা নির্দেশ পেয়ে থাকি সেই সমস্ত যন্ত্রাংশ কে বলা হয় আউটপুট ডিভাইস ।

মানে কম্পিউটার আমাদেরকে য়ে যন্ত্রাংশের মাধ্যমে কিছু বলে থাকে সেই যন্ত্রাংশকে আউটপুট ডিভাইস বলে

কম্পিউটার এর ASCII code কি


কম্পিউটার এর ASCII code কি ভাবে কাজ করে তার বর্ণনা


কম্পিউটার এর যত উন্নতি হতে থাকে ততো এর ব্যবহার ও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে থাকে । তাই পৃথিবীর কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা ঠিক করে কম্পিউটারের ইনপুট প্রক্রিয়াকে সহজ করার জন্য একটি বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে । তাই তারা একত্রিত হয়ে একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করে । যাকে ASCII code বলে


যৌথ আলোচনায় ঠিক করা হয় ইংরেজি অক্ষর ও 0-9 ব্যবহার করে কম্পিউটার কে ইনপুট প্রদান করা হবে । কিন্তু কম্পিউটার বাইনারি পদ্ধতি অর্থাৎ 0,1 (ON, OFF) ছাড়া কিছু বুঝে না । তাই A থেকে Z, a থেকে z, 0 থেকে 9 পর্যন্ত ওক্ষর গুলিকে বাইনারি নাম্বারে পরিনিত করে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় । এছাড়াও আরো কিছু সহকারী কী ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত হয় । প্রতি কী এর জন্য একটি নির্দিষ্ট বাইনারি নাম্বার ব্যবহার হয়


কম্পিউটার কেবল মাত্র বিদ্যুতের উপস্থিতি (ON=1) ও অনুপস্থিত (OFF=0) বুঝে থাকে । আমরা যখন কম্পিউটার এর কী-বোর্ডের কোনো কি প্রেস করি তখন ঐ কী-বোর্ডের কী ভেলু বাইনারি রুপে কম্পিউটার এর CPU আসে এবং কম্পিউটার কাজ করে ঐ আগত বাইনারি নাম্বার নিয়ে । A-কী প্রেস করলে আমরা বুঝি A , আর কম্পিউটার বুঝে A এর জন নির্ধারণ করা ASCII code , যা বিজানিদের দ্বারা ঠিক করা বাইনারি নাম্বার

কম্পিউটারে ব্যবহৃত ASCII code এর চার্ট টেবিল হলো এই রকম

Character Decimal Value
Space 32
! 33
" 34
# 35
$ 36
% 37
& 38
' 39
( 40
) 41
* 42
+ 43
, 44
- 45
. 46
/ 47
0 48
1 49
2 50
3 51
4 52
5 53
6 54
7 55
8 56
9 57
: 58
; 59
< 60
= 61
> 62
? 63
@ 64
A 65
B 66
C 67
D 68
E 69
F 70
G 71
H 72
I 73
J 74
K 75
L 76
M 77
N 78
O 79
P 80
Q 81
R 82
S 83
T 84
U 85
V 86
W 87
X 88
Y 89
Z 90
[ 91
\ 92
] 93
^ 94
_ 95
` 96
a 97
b 98
c 99
d 100
e 101
f 102
g 103
h 104
i 105
j 106
k 107
l 108
m 109
n 110
o 111
p 112
q 113
r 114
s 115
t 116
u 117
v 118
w 119
x 120
y 121
z 122
{ 123
| 124
} 125
~ 126